শীতের গরম পানিতে গোসল ভাল না কারাপ?
শীতকাল গোসল করাটা অনেকের কাছে একটা শাস্তির মতো আবার গরম পানি নাকি ঠঢান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবেন, এ নিয়েও অনেক দ্বিধা থাকে মনে।
আসলে গরম পানিতে গোসল করলে উপকার এবং অপকার দুটোই আছে।
গরম পানিতে গোসল করার উপকারিতা-
শীতে তাপমাত্রা স্বাভাকিভাবে ১৪ - ২৭ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। এ জন্য গোসরের জন্য ৩০ থেকে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার পানিই ভালো। গোসলের এই পানিকে আমরা গরম না বলে উষ্ণ বলতে পারি।
রক্তসঞ্চালয় বাড়ে?
মাংসপেশি শিথিল করে-
হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে মাংসপেশির সংকোচনভাব কমিয়ে পেশিকে শিথিল করে। এজন্য যারা শীতে শরীর চর্চা করেন, তাদের শরীর চর্চার পরই গরম পানিতে গরম পানিতে গোসল বা বাষ্পায়িত গোসলের পরামর্শ দেওয়া হয় শরীরচর্চা বা ভারী কাজের পরপরই কোনোভাবেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না।
ব্যথা থেকে মুক্তি-
সর্দি কাশি-
সর্দি- কাশিঃ সাইনোসাইটিস, সর্দি, কাশি, গলাব্যথায় গরম পানিতে গোসল করলে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।
গরম পানিতে গোসলের ক্ষতিকর দিক-
অপকারিতাঃ
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া হলো গরম পানিতে গোসলের সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক।
- গরম পানি চর্মরোগের সমস্যা ব্যপকভাবে বাড়ায়।
- চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রাতাও নষ্ট করে, মাথার চামড়ার শুষ্কতা বাড়িয়ে খুশকিভাব বাড়ায়।
- পানি অতিরিক্ত গরম হলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার আশঙ্খা থাকে।
কীভাবে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে?
পানি গরমের সময় বা শরীর দেওয়ার আগে দূর্ঘনা এড়াতে পানির তাপমাত্র দেখে নিতে হবে। পানির তাপমাত্রা কোনোভাবেই ৩৫ ডিগ্রি এর বেশি থাকলে হবে না। গরম পানিতে গোসলের পর শরীরে আর্দ্রাতাযুক্ত লোশন, মুখে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ও মাথার চামড়ার জন্য সামান্য নারকেল তেল ব্যবহার শুষ্কতা কমাতে কাজে লাগে। শিশু থেকে বয়ষ্ক সবার জন্যই অলিভ অয়েল, গ্নিসাইররও বেশ উপকারি। চুলের শুষ্কতা কমাতে আর্দ্রাতাযুক্ত শ্যাশ্পু ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় লম্বা চুলের যত্নের জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমাদের কাছে এসব তথ্য দিয়েছেন ডাক্তার হিমেল বিশ্বাস, ক্লিনিক্যাল স্টাফ, নিউরোলজি বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।
0 Comments