অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নজিবুর রহমান
Professional Degree: এমবিবিএস, এমডি (কার্ডিওলজি), এফআরসিপি (ইউকে), এফএসিসি (ইউএসএ)
Category: কার্ডিওলজিস্ট (হৃদরোগ/হার্ট বিশেষজ্ঞ)
Designation: প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান কার্ডিওলজি বিভাগ
Hospital Name: শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
BMDC No: 11195
Division: Daka
District: Dhaka
১. করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD)
- হার্টের ধমনীতে চর্বি জমে ব্লক তৈরি হলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়।
- এর ফলে অ্যাঞ্জাইনা (বুকে ব্যথা), হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
২. হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন)
- হার্টের ধমনী বন্ধ হয়ে গেলে বা সংকুচিত হলে হৃদপিণ্ডে অক্সিজেন পৌঁছায় না, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়।
৩. হার্ট ফেইলিউর
- যখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে পারে না, তখন এই সমস্যা দেখা দেয়।
- লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ক্লান্তি, পা-হাত ফুলে যাওয়া।
৪. অ্যারিদমিয়া (হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত গতি)
- হার্টবিট খুব ধীর, খুব দ্রুত বা অনিয়মিত হলে এটি অ্যারিদমিয়া নামে পরিচিত।
- প্রকারভেদ: ব্র্যাডিকardia (ধীর হার্টবিট), ট্যাকিকardia (দ্রুত হার্টবিট), অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (অনিয়মিত হার্টবিট) ইত্যাদি।
৫. ভালভুলার হার্ট ডিজিজ
- হার্টের ভালভ ঠিকভাবে কাজ না করলে রক্ত প্রবাহের সমস্যা হয়।
- ভালভ লিক (রিগারজিটেশন), ভালভ সংকুচিত হওয়া (স্টেনোসিস) ইত্যাদি রোগ এতে অন্তর্ভুক্ত।
৬. হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ)
- দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তচাপ হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. কংজেনিটাল হার্ট ডিজিজ (জন্মগত হৃদরোগ)
- জন্মগতভাবে হার্টের গঠনগত সমস্যা যেমন ছিদ্র থাকা বা ভালভের অস্বাভাবিকতা।
৮. কার্ডিওমায়োপ্যাথি (হার্টের পেশির দুর্বলতা)
- হার্টের পেশি দুর্বল বা মোটা হয়ে গেলে রক্ত পাম্প করতে সমস্যা হয়।
৯. পেরিকার্ডাইটিস (হার্টের আবরণে প্রদাহ)
- হার্টের চারপাশের পর্দায় (পেরিকার্ডিয়াম) সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে ব্যথা ও ফোলা অনুভূত হয়।
১০. ডিপ ভেন থ্রোম্বোসিস (DVT) এবং পালমোনারি এম্বোলিজম (PE)
- রক্ত জমাট বাঁধার কারণে শিরায় ব্লক হলে হার্টে বা ফুসফুসে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
১১. স্ট্রোক
- যদি মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, তবে স্ট্রোক হতে পারে, যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের সমস্যার কারণেও ঘটতে পারে।
১২. হাইপোটেনশন (নিম্ন রক্তচাপ)
- অস্বাভাবিকভাবে নিম্ন রক্তচাপ হলে মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কার্ডিওলজিস্টদের কাছে কখন যাবেন?
যদি আপনার বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হার্টবিট, মাথা ঘোরা, উচ্চ রক্তচাপ বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন। অনলাইনে সিরিয়াল দেওয়ার জন্য ক্লিক করুন-
0 Comments